এম এ রহিম বাংলাদেশ থেকে
ভারতে আটকে থাকা ৪০ জেলেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শনস্বরূপ অল্প সময়ের মধ্যেই প্রত্যাবর্তন আইনে তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত।
গত ১৮ আগস্ট বঙ্গোপসগারে ইলিশ ধরতে গিয়ে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েন বাংলাদেশের অনেক মৎস্যজীবী।ঝড়ে সমুদ্রে ভেসে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ৩৬ঘন্টা পর ৯০ জনকে উদ্ধার করে ভারতীয় জেলেরা ও সেখানকার কোস্টগার্ড পুলিশ। উদ্ধার করার সময় অসুস্থ হযে একজনের মৃত্যু হয় পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে। ওই ৯০ জেলের মধ্যে ৪০ জনের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশের কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। এদের মধ্যে ৬ জন পিরোজপুর ও ৩৪ জন বরগুনা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ওই ৪০ জনের মধে্য কাকদ্বীপের বুদ্ধপুর ফ্লাডসেন্টারে নিরাপত্তা হেফাজতে ছিলেন ২৩ জন এবং ১৭ জন ছিলেন মইপিঠ এলাকায়।
বগুড়া থেকে ট্রলার যোগে সাগরে মাছ ধেরতে যেয়ে ঝড়ের কবল পড়ে নিখোঁজ হওয়া ৪০বাংলাদেশি জেলেকে তিন মাস পর বেনাপোল স্থলপথে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে বাংলাদেশে হস্তান্তর করছে ভারতীয় পুলিশ। এছাড়াও ৮৯ জনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জেলখানায় এখনো ৪৯ জন বাংলাদেশি জেলে আটক রয়েছেন সেখানে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৪০ জন জেলেকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ‘বিশেষ ট্রাভেল পাসে’ বাংলাদেশের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় কলাকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশী উপ হাই কমিশনের দ্বিতীয় সচিব রাজনৈতিক-মারেফাত তরিকুল ইসলাম ও শার্শার এসিল্যান্ড ফারজানা ইসলাম ও ইমিগ্রেশন ওসি আজাদুর রহমান আজাদ উপস্তিত ছিলেণ।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি জেলেদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।