এম এ রহিম,  বাংলাদেশ

খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস রেল চোরাচালানীদের এখন অভয়ারণ্য।নিত্য  বিভিন্ন কৌশলে নির্বিঘ্নে বন্ধনে  চলছে অবৈধ পণ্য পাচার। বলতে গেলে  বেনাপোল রেলস্টেশন েখন ভারতের দ্বিতীয় বনগাঁ মেইলে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে, ট্রেনে অনিয়ম রোধে, বিজিবি,পুলিশ,কাস্টমসহ প্রশাসনের সদস্যরা একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছেন। এ সময় বেনাপোল রেল স্টেশন যেন ভারতের চোরাচালানী পন্যের বাজারে পরিণত হয়। উদ্ধার করা হয় মদ,কসমেটিকস,নিষিদ্ধ ওষুধ ও কম্বলসহ বিপুল পরিমাণ চোরাচালানী পণ্য।

বিজিবি ও রেল সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, কলিকাতা খুলনাগামী বন্ধন ট্রেনে কতিপয় অসাধু কাস্টম,স রেল পুলিশ ও প্রশাসন সদস্যদের যোগসাজসে চোরাচালনী পণ্য পাচারের নিরাপদ বাহনে পরিণত হযেছে। রেল স্টেশন এলাকায় চোরাই পণ্য পাচারের শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। ব্যাহত হয় রেল যাত্রী সেবা। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে রেলের যাত্রীসেবা বৃদ্ধিতে অভিযান পরিচালিত হয় বলে জানান যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটলিয়ান অধিনায়ক,লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী, তিনি বলেন বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে রয়েছে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি। রেলসেবা তারই একটি জলন্ত উদাহরণ। বন্ধন রেলেযাত্রীসেবা বাড়াতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি প্রত্যাক্ষদর্শি ও স্থানীয়রা জানান,ভারতের কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা বন্ধন ট্রেন বেনাপোল রেলস্টেশনে পৌছালেই সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়। এ সময় চলন্ত ট্রেন থেকে  কেউ লাফিয়ে, কেউ ছাঁদের উপর দিয়ে,কেউ মানুষের ভীড়ের ভিতর দিয়ে স্টেশন থেকে পণ্য নিয়ে চম্পট দেন। এতে করে সরকার যেমন হারাচ্ছেন রাজস্ব,পরিবেশ হচ্ছে কুলষিত, তবে কাস্টমসের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ,কাস্টমসের গোয়েন্দা সদস্যদের যোগসাজগে নিচ্ছিদ্র নিরপত্তা বলয় তৈরি করে বহিরাগত দিয়ে কমিশন আদায় করে দেদার অর্থ পকেটস্থ করছেন দায়িত্ব প্রাপ্ত অনেকে। বেনাপোল রেল স্টেশন যেন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। এই  শীতে এই রেলে বাড়ে চোরাকারবারীদের তৎপরতা।

হঠাৎ এ অভিয়ানে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন সাধারণ যাত্রী। কম্বল, মদ, ওষুধ সহ নানা অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য  অনায়াসে চোরাচালান হওয়ায় কিছুটা নড়ে চড়ে বসেছে বিজিবি। তবে কাস্টমসের কর্মকান্ডে প্রশ্ন বৃদ্ধ হয়ে উঠছে এই অভিযান। কাস্টমসের গোয়েন্দা ও তাদের সদস্যরা একই স্থানে দীর্ঘদিন চাকুরী সুযোগে সংঘবদ্ধ পাচারচক্রের সাথে সখ্যতা গড়ে পণ্য পাচারে সহায়তার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বেনাপোল কাস্টমসের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুনীতি ঘুষ বানিজ্য সহ যাত্রীদের সাথে অসৈজন্য আচারণ নিত্যদিনের  নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে।  রেলে এই চোরাচালানের মত অপকর্ম বন্ধে বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শুভ দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা। তবে অভিযানের ধারাবাহিকতা  বজায় থাকলে বন্ধনে  যাত্রী পরিবহন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।