নিউজ ডেক্স

আফগানিস্তানে সরকার গড়ার মুখে দাঁড়িয়ে তালিবান। এই পরিস্থিতিতে  ভারত-পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে মুখ খুলল তারা। তালিবানের সম্ভাব্য বিদেশমন্ত্রী শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই  বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সংশ্লিষ্ট দেশ দু’টিই মেটাবে। সেখানে আফগানিস্তান নাক গলাবেনা।

১৫ আগস্টই কাবুল দখল করে নিয়েছে তালিবান। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। সেই থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে তালিবানদের মধ্যে। যদিও এখনও সরকার গঠন করতে পারেনি তারা। হবু প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রীদের নাম ভাসলেও নিশ্চিত করে এখনও কিছু জানা যায়নি। এর মধ্যেই কূটনীতির বিষয়ে একাধিক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে তারা। এবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ঢুকবে না তারা। এই বিষয়ে মাথা গলাবে না।

এই প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে বহু বছরের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন আব্বাস। তিনি বলেন, ভারত আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। আফগানিস্তানে  অনেক উন্নয়ন করেছে তারা। এগুলি আমাদের দেশের সম্পদ। আমাদের আশা, আগামি দিনেও আফগানিস্তানের উন্নয়নে সাহায্য করবে ভারত। শুধু তাই নয়, আব্বাস বলেন, ভারত থেকে কেউ সেখানে গেলে তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। কাবুলে এখনও আটকে থাকা হিন্দু ও শিখদের দেশ ছাড়তে হবে না বলেও পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর কথায়, এটা তো তাঁদেরই দেশ। তাঁরা কেন দেশ ছাড়বেন। তাঁদের কোনও ভয় নেই।

শুধু ভারত নিয়েই নয়, অন্যান্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কথাও আব্বাস বলেন। তিনি জানান, ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে আমেরিকা ও ন্যাটো বাহিনী থাকলেও তালিবান সরকার তাদের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক রাখতে চায়। ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তানের মতো দেশের সঙ্গেও তারা ভাল সম্পর্ক রাখায় আগ্রহী।

বিভিন্ন মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, আফগানিস্তানে তালিবান (সরকার গড়লে আরও একবার জঙ্গি সংগঠনগুলি আফগানিস্তানের জমি ব্যবহার করে নাশকতা ছড়াবে। সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দিয়েছেন আব্বাস। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁদের দেশের মাটি যাতে জঙ্গিরা ব্যবহার করতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখবেন তাঁরা।