বানিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশের ব্যাবসায়ি সমতির এক গুচ্ছ প্রস্তাব
এম এ রহিম,  বেনাপোল

বেনাপোল সীমান্ত ( বাংলাদেশ); বানিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে  আমদানি রফতানি বানিজ্যকে আরো গতিশীল ও সহজতর করার উদ্যোগা নিয়েছে ভারত সরকার। এরই ধারাবহিকতায় পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল দ্রুত ও সহজ করতে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরস্থ ভারতীয় অংশে শিগগিরই নতুন একটি আন্তর্জাতিক গেট চালু করা হবে, জানিয়েছেন  বাংলাদেশ নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্র দূত দোরাইস্বামী।

যাত্রীসেবায় ইতিমধ্যে পেট্টাপোল সীমান্তে একটি আধুনিক মানের  ইমিগ্রেশন  ও কামস্টমস ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে।  বিমান বন্দরের আদলে এই ভবনে অত্যাধুনি সুযোগ সুবিধা  রয়েছে । এছাড়াও উভয় দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ আরও যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে  ভারতীয় অংশের অন্যান্য স্থলবন্দরগুলোকেও  এ্কই রকমে তৈরী করা হবে। আগামী মাসে ফেব্রুয়ারী) সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সেই বৈঠকে এসব বিষয় গুরুত্ব পাবে। ভারত সরকার দুই দেশের বাণিজ্য-ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে আগ্রহী। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, লজিস্টিকস, অটোমোবাইল বা গাড়িশিল্প ও পোশাক খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উন্নত করতে চায় তাঁর দেশ। উভয় দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন  রাষ্ট্রদূত দোরাই স্বামী।

গত এক বছরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে গত এক বছরে  বাণিজ্য বেড়েছে ৯৪ শতাংশ ।  ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রথমবারের মতো ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য-সম্ভাবনার বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে সুতা ও তুলার বড় জোগানদাতা হতে পারে ভারত। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে মঙ্গলবার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এসব কথা বলেন।

এ ছাড়া দুই দেশের শীর্ষ  নামী কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) নিয়ে সিইও’স ফোরাম চালুর বিষয়েও আলোচনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, এই ফোরাম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যাগুলো দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ঢাকার মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিক্রম দোরাইস্বামী এই সব কথা বলেছেন।

বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, লজিস্টিকস খাতের উন্নয়ন এফবিসিসিআইর প্রধান লক্ষ্য। এ খাতের উন্নয়নে সরকারের কাছে ১২ বছরব্যাপী একট পরিকল্পনা জমা দেওয়ার জম্য কাজ করছে তাঁর সংগঠন।

বাংলাদেশে বানিজ্য করতে এসে ভারতীয় কোম্পানিগুলো বেশ ভালো করছে। এই সূত্র ধরে বাংলাদেশে অন্যান্য ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগও লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে স্থলবন্দরগুলোর ভারতীয় অংশের অবকাঠামো দ্রুত উন্নয়নের আহ্বান জানান তিনি।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ, পরিচালক রেজাউল করিম, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, মো. শাহ জালাল, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, যশোধা জীবন দেবনাথ ও প্রীতি চক্রবর্তী এবং মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন বন্ধ প্রতিম রাষ্ট্র  ভারতের সাথে করোনার মধ্যেও সু রক্ষামেনেই চলছে আমূাদানি রপ্তানি। ভারতে পণ্য রফতানি বেড়েছে। ভারত থেকে রেলে করেও পণ্য আসছে বাংলাদেশে। দি দিন এই রফতানির পরিমান বাড়তে থাকবে। তাইত ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের দ পোর্টে জায়গা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাড়াতে হবে। সাথে বাড়াতে হবে জনবলও। তাছাড়া, বিমান বন্রদরের মত ২৪ঘন্টা দিন-রাত পোর্ট খোলা রেখে যাত্রী এবং আমদানি রফতানি সচল রাখা দরকার। এরফলে দুদেশের  সরকা যেমন পাবে  বেশী রাজস্ব।পাশাপাশি উপকৃত হবে ব্যাবসায়ি ও যাত্রী সাধারণ।