এম এ রহিম , বেনাপোল
বেনাপোল সিমান্ত, বাংলাদেশ : বেনাপোলের উদীয়মান সফল নারী উদ্যাক্তা সাহিদা রহমান সেতু ভারতের কলকাতায় গ্লোবাল ফেইম অ্যাওয়ার্ড ও মাদার তেরেসা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ২০২২ অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক নারীদিবসের সন্দিক্ষণে যশোর বেনাপোল-র নারী উ্দ্যোক্তা সেতুর অসামাণ্য সফলতার স্বীকৃতি স্বরূপ ভারতের এই দুটি এ্যাওয়ার্ড অর্জন করার কৃতিত্ব বাংলাদেশের তথা দেশটির সকল নারী উদ্যোক্তার জন্যই এক বিরাট সন্মানের এবং বিরল দৃষ্টান্ত।
দেশে এই অসামাণ্য অবদান অর্জন করায় শনিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল প্রেসক্লাবের উদ্যেগে হোটেল সানরুপ ইন্টারন্যাশনাল বলরুমে নারী উদ্যেক্তা সাহিদা রহমান সেতুকে এক বর্ণঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। প্রেসক্লাব বেনাপোলের সভাপতি আলহাজ্ব মহসিন মিলনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোলের বিশিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী ও এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আললহাজ্ব শামসুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাইদুর রহমান বকুল। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন প্রেসক্লাব বেনাপোলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুর রহমান রাশু, দৈনিক ইত্তেফাকের কাজী শাহজাহান সবুজ, বেনাপোল টিভি জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাজেদুর রহমান, উপজেলা রিপোটারস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম,এ রহিম, বেনাপোল রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাসান, সাংবাদিক মশিয়ার রহমান, দেবল কুমার, সেলিম রেজা, মিলন হোসেন, জিএম আশরাফ, শিশির কুমার প্রমুখ। প্রেসক্লাব বেনাপোল-র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব বকুল মাহবুব’র এর সঞ্চালনায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠনে সফল নারী উদ্যাক্তা সাহিদা রহমানকে যথাযোগ্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়েছে। ভারতের এই অনন্য অবদানের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে সাহিদা রহমান সেতু বলেন, এটি আমার জন্য অনেক গর্বের। বাংলাদেশের সীমান্ত শহর বেনাপোলের একজন নারী হিসেবে বিদেশের মাটিতে এমন পুরস্কার অর্জনে আমি সত্যিই আনন্দিত ও গর্বিত। তিনি অনুষ্ঠান আয়োজকদেরও ধন্যবাদ জানান।উল্লেখ্য, এর আগে স্থানীয় নারী উদ্যোক্তা হিসেবে অসামাণ্য ভূমিকার জন্য সম্প্রতি কলকাতায় একটি স্বনামধন্য হোটেলে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্লোবাল ফেইম অ্যাওয়ার্ড ও মাদার তেরেসা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ২০২২ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের বিশিষ্ট অতিথি বলিউড তারকা বিপাশা বসু সফল সাহিদা রহমান সেতুর হাতে পুরস্কার দুটি তুলে দেন। ভি-কানেক্ট স্টারের আয়োজনে কলকাতার একটি পাঁচতারকা হোটেলে পুরস্কার প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।