এম এ রহিম. বেনাপোল প্রতিনিধি
ভারত থেকে বাংলাদেশে চাল ফের রফতানি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে বেনাপোলে ৭১২ মেট্রিক টন চাল পৌছেছে।
বাংলাদেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও খাদ্য ঘাটতি কমানো ও বাজার মূল্য সহনশীল রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় শর্ত সাপেক্ষে ৩০ জুন দেশের ৯৫ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে ৪ লাখ ৯ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ১০ মাস ১২দিনপর পর ভারত থেকে ৭১২ টন চাউল বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। ২০২১সালের৩১ আগস্ট ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। (১৪ জুলাই) বৃহস্পতিবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পুনরায় চাল আমদানি শুরু হয়।সোমবার সন্ধ্যাপর্যন্ত তিনদিনে এই বন্দর দিয়ে ৭১২ টন চাল আনলোড হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেলাল হোসাইন, মেসার্স লিপু এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স দিন ইসলাম ভারত থেকে চাল আমদানি করছে।বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান ও বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহাসিন মিলন জানান. দেশে উৎপাদিত চালের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার গত বছরের ৩১ আগস্ট ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ করেছিল। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন জায়গায় বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির কারণে বাজারে চালের মূল্য অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। ফলে আবারও ভারত থেকে চাল আমদানি সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। আমদানিকৃত চালের মধ্যে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন সিদ্ধ চাল ও ৩০ হাজার টন আতপ চাল রয়েছে। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে চালের এলসি খোলা সম্পন্ন ও ১১ আগস্টের মধ্যে আমদানির চাল দেশে বাজারজাত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।চাল খালাসে নিয়োজিত বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী সেজুতি এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি তুফান বলেন, চালের ট্রাক বেনাপোল বন্দরে ঢোকার আগে ভারতের বনগাঁ কালিতলা পার্কিংয়ে ২০ থেকে ২৫ দিন সিরিয়ালে আটকে ছিল। এখনো অনেক চালবোঝাই ট্রাক কালিতলা পার্কিংয়ে আটকা পড়ে আছে। পচনশীল ও জরুরি খাদ্য পণ্য হিসেবে এসব ট্রাক আগে প্রবেশের নির্দেশ থাকলেও ভারতীয় পার্কিং কর্তৃপক্ষ সিরিয়াল ছাড়া এসব ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। যদি চালের ট্রাক বন্দরে দ্রুত প্রবেশের অনুমতি দেয় তবে দেশের বাজারে দাম অনেকটা কমে আসবে।
কিন্তু কিছুতেই বনগার কালিতলা পার্কিংয়ের দাদাগিরি কমছেনা। তাদের নির্ধারিত টাকা দিলেই সেই ট্রাক আগে ছাড়ে। এই আনিয়ম সেখানে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছেনা।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা এনাম হোসেন বলেন, তিন দিনে ৭১২ টন চাল আমদানি হয়েছে। তবে দিন ইসলাম নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) আনা ১০৫ টন চাল খালাসের জন্য সোমবার বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কাগজপত্র দাখিল করেছে। অন্য আমদানিকারকরা কাগজপত্র সংকটের কারণে এখনো চাল খালাস নিতে পারেনি। আমদানিকৃত চাল বন্দর থেকে যাতে দ্রুত খালাস দেওয়া যায় কাস্টমস তার সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান. ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত বন্দর থেকে চাল ছাড় করাতে পারেন সে লক্ষ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ভারত সীমান্তে যাতে বেশি দিন ট্রাক আটকে না থাকে তার জন্যও সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ভিসি /অমিত/সুদিপ