নিজস্ব রিপোর্ট
বিষয়টি ঝাড়খন্ড সরকার ফেলে দেয়ার সতকর্তামূলক প্রটেকসন।বিধায়ক কেনা-বেঁচার কি আঁচ পেয়েচিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন? ঠিক তাই, এই জন্যই বিজেপির খপ্পর থেকে বিধায়ক ভাঙানো রুখতে আগেভাবেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস বিধায়কদের রিসর্টে রাখার ব্যবস্থা করলেন হেমন্ত।
আজ (রবিবার) বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর তাদের বাসে চাপিয়ে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা দিল একটি বাস। সূত্রের খবর, ৪৩ জন বিধায়ক শহর ছেড়েছেন। এদিকে, এক কংগ্রেস বিধায়ক জানান, এর পরও যদি বিধায়ক হাতিয়ে নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা উঁকি দেয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গ বা ছত্তিসগড়ের মতো অ–বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে শাসক দলের বিধায়কদের। এদিকে এদিন রাত সাড়ে ৮ টায় নিজেদের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবে কংগ্রেস।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে ওইসব বিধায়কদের ছত্তীসগঢ়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খনি কেলেঙ্কারিতে তার বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওার সম্ভাবনা তৈরির হলেও আজ সকালে তার বাসভবনে বিধায়কদের একটি বৈঠক ডাকেন তিনি। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বিধায়করা তাদের লাগেজ সঙ্গে করে আনেন। ফলে মনে করা হচ্ছিল তারা রাজ্য ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার রেয়েছে ৩০ বিধায়ক, কংগ্রেসের ১৮ ও আরজেডির রয়েছে ১ বিধায়ক। এখন খনি লিজ দেওয়া নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন সোরেন। তার বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও এনিয়ে রাজ্যপালের তরফে এখনও কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। তবে রাজ্যে একটি জল্পনা রটে যায়, হেমন্ত সোরেন বিধায়কপদ খারিজের নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই নোটিসের পর খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, শোনা যাচ্ছে, হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করার সুপারিশ করে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিজেপির অভিযোগ, হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করতে হবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাজ্যের খনিমন্ত্রী অর্থাৎ নিজেই খনির লিজ নিয়েছেন। এনিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসেই তার বিধায়ক পদ খারিজের দাবি করে বিজেপি। রাজ্যপাল ওই আবেদন পাঠিয়ে দেন নির্বাচন কমিশনে।