ভিওসি রিপোর্ট
দুর্নীতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন (মুখ্যমন্ত্রীর সচিবাল) অভিযানের ডাকদিয়েছে বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিজেপির মিছিল আটকাতে নবান্নমুখী বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। রাখা হচ্ছে জলকামান, ড্রোন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ও এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। হাওড়ার বেলেপোলের কাছে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। সাঁতরাগাছিতে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে রাস্তা খুঁড়ে লোহার বিম ঝালাই করে ব্যারিকেড করা হয়। যাতে কোনওভাবেই এই ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে না পারে বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা।
বিজেপির পরিকল্পনা তিনদিক থেকে অভিযান হবে নবান্ন অভিমুখে। কলেজ স্কোয়ার থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মিছিল নিয়ে যাবেন দিলীপ ঘোষ, সাঁতরাগাছি থেকে মিছিল নিয়ে আসবেন বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং হাওড়া থেকে মিছিল যাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে। মিছিল শুরু হবে বেলা ১টায়।
বিজেপির মিছিল আটকাতে তৈরি পুলিশের বাহিনী। সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তা শহর জুড়ে। শুধু কলকাতায় নয়, কলকাতার বাইরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে পুলিশ সূত্রে খবর, নিরাপত্তা ব্যবস্থার নজরদারিতে রয়েছেন পুলিশের বিশেষ কমিশনার দময়ন্তী সেন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তার তদারকিতে রয়েছেন দু’জন করে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকছেন ১৮ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক। এ ছাড়াও ৩২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ৬২ জন ইনস্পেক্টর থাকছেন। কলকাতা ও হাওড়া থেকে তিনটি মিছিল যাওয়ার কথা নবান্নের উদ্দেশে। একটি মিছিল শুরু হওয়ার কথা কলকাতার কলেজ স্কোয়ার থেকে, অন্য দু’টি হাওড়া ময়দান এবং সাঁতরাগাছি থেকে। এ দিনের কর্মসূচি রুখতে নবান্নের আশপাশে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা কার্যত দুর্গে পরিণত করেছে পুলিশ। নবান্নের উদ্দেশ্যে বিজেপি কর্মীরা কলকাতায় যাওয়ার সময় রানিগঞ্জ রেল স্টেশনের বাইরে এদিন সকালে বিজেপি কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়।