ওমর আলী, বাংলাদেশ থেকে
অবশেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‌স্থগিত হয়ে গেল কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলা। দুই দফায় তারিখ ঘোষণা করেও কি কারণে মেলা স্থগিত হলো এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি আয়োজকরা। বাংলাদেশ সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনীর কর্ণধার ফরিদ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ রফতানী উন্নয়ন ব্যুরোর সহায়তায় কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাস বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজন করে থাকে। কভিডের কারণে গত দু’বছর বাংলাদেশ বইমেলা হয়নি। আমরা অনেক আশা নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ মুহুর্তে বাংলাদেশ দূতাবাস মেলা স্থগিত করেছে।

জানা যায়, কলকাতার রবীন্দ্রসদন সংলগ্ন মোহরকুঞ্জে ১০ম বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজন করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর ১০দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধরে প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বিশিষ্টজনদের বই নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশের প্রকাশকরা। কিন্তু শেষ মুহুর্তে গোল বাঁধে কলকাতার প্রকাশকদের সংগঠন পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ড কর্তৃক রবীন্দ্রসদনে অনুষ্ঠিত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০দিনব্যাপী শারদ বই পার্বণে। রাস্তার দু পাশে দুটি বইমেলা একই সময়ে মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশের প্রকাশকরা। তারা বলেন, বাংলাদেশ বইমেলায় হাজার হাজার পাঠক আসেন। কলকাতার প্রকাশকরা পাঠকদের বিভ্রান্ত করতে একই সময়ে রবীন্দ্রসদনে মেলার আয়োজন করাটা দুঃখজনক। তবে শারদ বই পার্বণের আয়োজক পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের একজন নেতা জানান, বাংলাদেশ বইমেলা সম্পর্কে তারা কিছু জানতেন না।

এদিকে মোহরকুঞ্জের মেলা ৭দিন পিছিয়ে অপর একটি ভেন্যুতে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করার কথা ছিল। সে মোতাবেক বাংলাদেশের প্রকাশকরা ১০ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে ঘোষণা দেয়। নতুন উদ্যোমে মোহরকুঞ্জের পাশেই সেন্ট পল ক্যাথেড্রাল মাঠে মেলা করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই মাঠেও মেলা করতে পারেনি বাংলাদেশের প্রকাশকরা। দুই দফায় মেলা স্থগিত হওয়ায় হতবাক বাংলাদেশের প্রকাশক ও কলকাতার বইপ্রেমি পাঠক ও লেখক সমাজ। কি কারণে মেলা স্থগিত করা হলো, ফের কবে কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা হবে, উত্তর নেই কারও কাছে।