প্রণব ভট্রাচার্য্য
কলকাতার সঙ্গে আগরতলার রেলপথে চলাচল আনু্য্ঠানিভাবে শুরু হলো আজ(বৃহস্পতিবার) থেকে। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অনুষ্ঠানিতার মধ্যে দিয়ে যুক্ত করলেন কলকাতা আগরতলা রেল চলাচল। এখন থেকেই কলকাতা থেকে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় সহজেই ট্রেনে করে পৌঁছে যাওয়া যাবে। এদিন আগরতলা-কলকাতা এক্সপ্রেস এবং আগরতলা – খোংসাং এক্সপ্রেসের শুভ সূচনা হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত দিয়ে । আর এই দুটি এক্সপ্রেসের ফলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের পর্যটন পূর্বের তুলনায় যথেষ্ট বিকশিত হবে এমনটাই আশা করছে ওয়াকিবহল মহল।
যে এক্সপ্রেস ট্রেনটি গুয়াহাটি-কলকাতা-গুয়াহাটি এই রুটে চলাচল করত, এখন সেটিকেই আগরতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে । অন্যদিকে আগরতলা- জিরিবাম- আগরতলা এই রুটের এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে মনিপুরের খোংসাং পর্যন্ত। এ দিন আগরতলা রেল স্টেশনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সবুজ পতাকা নেড়ে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেন রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে।
এই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মা, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, পরিবহন, পর্যটন ও কৃষি দফতরের মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় সহ বহু বিশিষ্টজনেরা।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত চলাচল করত যে এক্সপ্রেসটি সেটি এখন থেকে আগরতলা পর্যন্ত চলবে সপ্তাহে একদিন করে। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহের বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ আগরতলা স্টেশন ছেড়ে এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি রওনা দেবে কলকাতার উদ্দেশ্যে। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটে নাগাদ এটি কলকাতায় এসে পৌঁছবে। আর প্রত্যেক রবিবার কলকাতা থেকে এটি রাত ৯:৪০ মিনিট নাগাদ রওনা দেবে এবং মঙ্গলবার ভোর ৫:১৫ মিনিটে এসে পৌঁছবে আগরতলায়। আপাতত এই এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে থাকছে ১৪ টি কোচ। তারমধ্যে রয়েছে পাঁচটি এসি থ্রি টায়ার , ছয়টি স্লিপার সহ ফার্স্ট ক্লাস এসি কোচ।