কলকাতা,  ১৭ মার্চ ২০২১ : ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ৬হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০হাজার টাকা অনুদান দেবে তৃণমূল সরকার।  তা ছাড়া রাজ্যের সব পরিবারকে মাসে  ৫০০ টাকা করে দেয়া হবে, তবে আদিবাসী, তফশিলি ও সংখ্যালঘুদের মতো পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবারগুলির ক্ষেত্রে এই সাহায্যের পরিমাণ হবে মাসিক ১০০০ টাকা।

আজ, বুধবার কালিঘাটের বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বচনী ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।। ইস্তেহারে রাজ্যের  দিকে নজর রেখে ঐরকম নানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন তৃণনমূল নেত্রী।

তিনি জানিয়েছেন, পরিবারপিছু ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করতে একটি প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছে। সেই প্রকল্পের মাধ্যমেই এই অনুদান দেওয়া হবে।  অন্যদিকে, আগামী মে মাস থেকে বিধবাদের কে ১০০০  টাকা করে ভাতা দেয়ার কথাও ইস্তাহারে বলা  হয়। পাশাপাশি রাজ্যের কৃষক বন্ধুদের জন্য ৬ হাজার টাকার ভাতা বাড়িয়ে  ১০ হাজার টাকা করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এছাড়াও রাজ্যের মেয়েদের জন্য আরও স্কুল, কলেজ খোলা হবে বলে ইস্তেহারে  উল্লেখ করা হয়।।

এদিন ইস্তাহার প্রকাশ করে নেত্রী বলেন,  আমরা সব ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মেলবন্ধন করেছি । বাংলার মানুষ কখনও ভাগাভাগি দেখেনি। বিজেপি শরণীভেদের রাজনীতি করছে,  সে জন্যেই বিজেপিকে রুখতে হবে।

এদিন, তাঁর  সরকারের সামাজিক প্রকল্পগুলির কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, তৃণমূল সরকারের কাজ  আজ দুনিয়ার নজর কেড়েছে।  ১০০ দিনের কাজে দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে বাংলা।  এই প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন । পাশাপাশি নেত্রী বলেন, বাংলায় কমেছে বেকারত্ব। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও কাজের ব্যবস্থা করেছে এই সরকার।

অন্যদিকে, বামপন্থী যাঁরা ‘নো ভোট টু বিজেপি’ বলছেন, তাঁদেরকে অভিনন্দন জানালেন তৃণমূল নেত্রী।  তাদেরপ্রতি আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার  বিজেপিকে ভোট না দেন ঠিক আছে কিন্তু ভোট নষ্ট  না করে তৃণমূলকে দিন।

সাংবাদিক সন্মেলনে তিনি আরও বলেন, অন্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার আয় বেড়েছে। তবে গত এক বছরে করোনা আবহে  ও লকডাউনের জেরে রাজ্য সরকারের অনেক কাজই কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে। ইস্তেহার নিয়ে তিনি বলেন, এবার আমরা দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেব।  এছাড়া, বছরে চারবার দুয়ারে সরকারও যেমন হবে, তেমনই কন্যাশ্রী, সবুজসাথীসহ স্বাস্থ্যসাথীর কাজও বহাল থাকবে, জানিয়ে ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।