এম এ রহিম বেনাপোল সিমান্ত থেকে
বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্প্রীতির অংশ হিসাবে দু’দেশের বিজিব আঞ্চলিক কমান্ডার ও বিএসএফ আইজি পর্যায়ের তিনদিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন রবিবার থেকে শুরু হয়েছে কলকাতায়।
ইতোমধ্যে উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান এর নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্য সহ ১৫জনের উচ্চপর্যয়ের বিজিবি প্রতিনিধি দলটি বেনাপোল হয়ে সড়ক পথে ভারত ভারতে পৌঁছে যায়। ভারতে যাওয়ার পথে সিমান্তরেখার জিরো পয়েন্টে ফুলদিয়ে স্বাগতিক ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল একে অপরকে ফুল ও ফল দিয়ে অভ্যার্থনা ও শুভেচ্ছা জানায়। স্বাগতিক দলের পক্ষে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাজেশ কুমার বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে অভ্যার্থনা জানান। এসময় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে সাম্য পরবেশ মিলন মেলায় পরণত হয়। পরে পেট্টাপোল বিএসএফ ক্যাম্পে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল প্রধান রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক কমান্ডার-এডিশনাল ডা্ইরেক্টর জেনারল এ বিএম নওরোজ এহসানকে গার্ড অব অনার প্রদান করে ভারতীয় বিএসএফ।তিনদিনব্যাপী(১৩-১৬ নভেম্বর ) কলকাতায় রবিবার শুরু হওয়া ওই সম্মেলনে সিমান্তসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে- বিশে্য করে সীমান্তে নারী-শিশু পাচার, মাদক অস্ত্র চোরাচালান রোধসহ সীমান্তের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। বিজিবি রিজিয়ন কমান্ডার এবং বিএসএফ আই জি পর্যায়ে সীমান্তরক্ষা-র বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য ভারতের বিএসএফের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এমনটাই জানিয়েছেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী। সিমান্ত সম্মেলনে স্বাগতিক দেশের নেতৃত্ব দেন কলকাতার আইজিপি অতুল ফুলজেলে। বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার এ বিএম নওরোজ এহসান।জানা গেছে, দু দেশের মধ্যে সীমান্তে সম্মেলনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ছাড়াও অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত হত্যা রোধের বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে দু ‘দেশের মধ্যে সু-সম্পর্ক থাকায় কমেছে পাচার ও হত্যাকান্ কিছুটা কমেছে। আগামীতে এটা যাতে আরও জিরো টলারয়েন্সে আনা যায় সে ব্যাপারে দু’দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে ঐক্যমত্যে পৌছতে পারে বলে সূ্ত্র জানায়.সূত্রটি জানায়, কলকাতায় দু’দেশের এই বৈঠক নিয়মিত অনুষ্ঠিত হলেও করোনাকালীন সময়ে এ্ই সীমান্ত সম্মেলন বন্ধ ছিল। এখন থেকে এই সিমন্ত বৈঠক নিয়মিত সিডিউলড অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে।