ভিওসি রিপোর্ট
গোটা ভারতের মাটিতে  আল  কায়েদা ও জে এম বি জঙ্গিদের টাকা জোগাচ্ছে জনৈক বাংলাদেশি নাগরিক আবদুল্লা তালহা। তার হাত হয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা আসছে এই দুই জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের সদস্যদের হাতে। এই টাকার উৎস পাকিস্তান। এই আবদুল্লা তালহাই এখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মূল টার্গেট। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তার ডেরা রয়েছে বলে খবর। এই ‘ফান্ড ইনচার্জ)’ কে হাতে পাওয়া গেলে টাকার সাপ্লাই লাইন কেটে দেওয়া যাবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।

পশ্চিম বঙ্গের  পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্যে আল কায়েদা শাখা বিস্তার করেছে। তাদের সহযোগী হয়েই কাজ করছে আরেক জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। পলাতক জেএমবি জঙ্গিরা আল কায়েদায় গিয়ে  ভিড়েছে

এই রাজ্যে আল কায়েদার স্লিপার সেলের সদস্যরা ভিন রাজ্যে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। কলকাতা পুলিসের এসটিএফের হাতে ধৃত জঙ্গি হাসনাত শেখ জেরায় স্বীকার করেছে, শুধু যোগাযোগ রাখা নয়, তাদের মাধ্যমে টাকার হাতবদলও হচ্ছে। আসছে বিস্ফোরক তৈরির বিভিন্ন উপকরণ।

টাকার প্রসঙ্গ উঠে আসায় গোয়েন্দারা আলাদা করে খোঁজখবর করতে শুরু করেন। ভোপাল সহ বিভিন্ন রাজ্যে ধৃত আল কায়েদা জঙ্গিদের জেরা শুরু হয়। জানা যায়, ভারতে সংগঠন চালানোর জন্য বছরে ১০ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিছুদিন আগেও এই টাকার পরিমান  ছিল এক কোটির কাছাকাছি। আসলে তাদের পায়ের নীচের জমি শক্ত করতেই  টাকার পরিমাণ একধাক্কায় অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। পাকিস্তান বসেই টাকা-পয়সার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। হাওলা ছাড়াও আন্তর্জাতিক চোরা কারবারিদের মাধ্যমে টাকা আসছে ভারতে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, ভারতে আর্থিক বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিক আবদুল্লা তালহা। সে প্রথমে পাকিস্তান থেকে ওই টাকা দুবাইয়ে নিয়ে আসছে। তারপর সেখানে কর্মকত ভারতীয়দের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এদেশে বসবাসকারী জঙ্গিদের আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হচ্ছে। সেই টাকাই পৌঁছে যাচ্ছে আল কায়েদার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে।

তালহা সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিম বাংলায় একাধিকবার এসেছে। থেকেছে মুর্শিদাবাদ ও মালদহে। সেখানে বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক নেতাদের ডেকে বৈঠকও করেছে সে। বৈঠকের পর প্রতিটি স্লিপার সেল পিছু দেওয়া হয়েছে আশি থেকে এক লক্ষ টাকা। নগদের পরিমাণ বাড়ানো, অনুমোদনহীন মাদ্রাসা তৈরি এবং আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকের মজুতের উপর জোর দিয়েছে তালহা। এই রাজ্যে তার খোঁজখবর শুরু হতেই তালহা পালিয়ে যায় উত্তরাখণ্ডে। সেখানে নাম গোপন করে লুকিয়ে ছিল। তবে সে এখন কোথায়, সে ব্যাপারে অন্ধকারে গোয়েন্দারা। ধারণা করা হচ্ছে, সে হয়তো পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে। কমবয়সিদের টাকা দিয়ে আল কায়েদা সংগঠনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে তালহা। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, এর ফলে  নতুন নতুন জঙ্গি তৈরি হবে এবং তাদের মগজ ধোলাই তারকরে। নাশকতার কাজে ব্যবহার করা হবে। এই তালহাকে এখন খুঁজে বের করাই লক্ষ্য বিভিন্ন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির।  গোপন ডেরাগুলিতে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে খবর।