ভিওসি প্রতিবেদন

বিজেপি বরাবরই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে আসছে। একটা মাঠের এক বক্তৃতাকে উপলক্ষ করে আমাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চাইছে মোদি সরকার। আমার প্রতি ওদের এই ঘৃণ্য কাজের যোগ্য জবাব দেবে জনগণ। সাংসদ পদ হারিয়েও হার মানতে নারাজ রাহুল গান্ধি।  সাংসদপদ খারিজ হওয়ার পর মঙ্গলবার তার লোকসভা কেন্দ্র কেরলের ওয়ানাড়ে জন সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুধু বক্তৃতা নয় ওয়ানাডে-তে পৌছাইলে যেন প্রবল  জনজোয়ার ভাসলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সংসদ রাহুল গান্ধি।  বললেন,”ওরা আমাকে জেলে পাঠাতে পারে কিংবা ঘরছাড়া করতে পারে। কিন্তু ওয়ানাড়ের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা থেকে দূরে রাখতে পারবে না।”

সাংসদ পদ খারিজ হ্ওয়ার পর প্রথম (মঙ্গলবার)  রাহুল সেখানে একটি রোড শো করেন , তারপর জনসভাও করেন। সেই জনসভা থেকে তাঁর বার্তা, “সাংসদ শব্দ একটা তকমা মাত্র, একটা পদ মাত্র। বিজেপি আমার নামের পাশ থেকে সেই তকমা সরিয়ে নিতে পারে। আমাকে জেলে পাঠাতে পারে, ঘরছাড়া করতে পারে, কিন্তু ওয়ানাড়ের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা থেকে আমাকে আটকাতে পারবে না। ওরা ভেবেছে আমার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে বা আমাকে বাড়িছাড়া করলে আমি ভয় পেয়ে যাব, আমাকে ওরা এখনও চেনেনি।”

রাহুল বলেন, ”আমি আর সাংসদ নই, তাই  বিজেপি আমাকে আমার বরাদ্দের সরকারি  বাড়ি ছাড়ার নোটিস দিয়েছে। ওখান থেকে ওরা আমাকে বিতাড়িত করছে। আমি বাড়ি ছাড়ব কিন্তু ওই বাড়ি হারিয়ে আমি খুশি  কারণ আমি  ওখানে (প্রাসাদে)  থাকতে  ভালোবাসি না। আমি দেখেছি বন্যার সময় এই ওয়ানাড়ে কত মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে।” এদিন সকালে  রাহুল ওয়ানাডে পৌছলে মূলত: তার আগমন যেন বিরাট রোড শো-তে পরণত হয়। হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মী ও সাধারণ মানুষ এই রোড-শো-তে অংশ গ্রহণ করে।  উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী  প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।

নিয়ম মোতাবেক, কোনও কেন্দ্র জনপ্রতিনিধিত্বহীন হয়ে পড়লে, সেই কেন্দ্রে ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়। সেইমতো, নির্বাচন কমিশনকে চলতি বছরেই ওয়ানাড় কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাতে হবে। সূত্রের খবর, রাহুল যদি সেই সময়ের মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ আনতে না পারেন, তাহলে ওয়ানাড়ে উপনির্বাচনে রাহুলের জায়গায় বোন  প্রিয়াঙ্কাকে সাংসদ হিসাবে দেখতে চায় কেরল কংগ্রেস ও ওআনাডে-র জনসাধারণ। অর্থাৎ ওয়ানাড়ে উপনির্বাচন হলে প্রিয়াঙ্কার  প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত আগেই ছিল। মঙ্গলবারে ওয়ানাড়ে প্রিয়াঙ্কার উপস্থিতি সেই ইঙ্গিতকেই আরও অর্থবহ করে  তোলে।