এম এ রহিম, বাংলাদেশ থেকে
মিথ্যা প্রলোভন আর প্রতারিত হয়ে প্রতিনিয়ত সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে মানুষ। অনেকের ঠাঁই হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন জেল হাজতে। সেখানকার হাজতবাস শেষে এমনই ১৯জন বাংলাদেশিকে ফেরৎ পাঠিয়েছে ভারতের পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে পাচার হওয়া ওই ১৯ বাংলাদেশী নারী-পুরুষকে বেনাপোল ইমিগ্রেসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আর এরই ধারাবাহিকতায় দু’দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ২ থেকে ৪ বছর নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও কুচবিহার থেকে ১৯ জন বাংলাদেশীকে ফেরৎ পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। এদিন ভারতের পেট্রাপোলে বিএসএফ ও ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি ও ইমিগ্রেসন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। কলকাতা উপ-হাইকমিশনের সহায়তায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরে তারা। ফেরৎ আসা বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের চাঁদপুর ফেনী, নড়াইল, বরিশাল, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলার অধিবাসী।বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্র্রেসন ওসি কামরুজ্জামান জানান, বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটক হয় এসব বাংলাদেশীরা। ধরাপড়ার পরে ভারতের বিভিন্ন সংশোধনাগারে ২ থেকে ৪ বছর জেল ভোগ শেষে দেশে ফেরে তারা। কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার তাদেরকে পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় বাংলাদেশের কলকাতাস্থ উপ-হাইকমিশনার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ মানবধিকার সংস্থা রাইট যশোর ও জাস্টিস এন্ড কেয়ারসহ ৪টি মানবধিকার সংগঠনের মাধ্যমে তাদেরকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া ও মানবধিকার সংগঠনের কর্মকর্তারা।
তবে তার আগে আইনী প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে, তার পরই প্রত্যেককে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পোর্ট থানা পুলিশের এস আই বিপ্লব হোসেন।