ভিওসি প্রতিবেদন
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের উদে্যগ ও কলকাতাস্থ বাংলদেশ উপ-হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় কলকাতার রবীন্দ্র সদনে আগামি ২৯-৩১ জুলাই-২০২৩ ”৫ম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব” অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এমপি। সন্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ।
তিনদিনের এই চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের সিনেমা জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, দিলারা হানিফ পূর্ণিমা, অরুনা বিশ্বাস, অপু বিশ্বাস, মামুনুজ্জামান মামুন ও গৌতম সাহা উপস্থিত থাকবেন।
কলকাতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাগৃহে নন্দন-১ ও ২-এ ২৯ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই চলচ্চিত্র উৎসব জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে হাসিনা এ ডটার’ টেল, জেকে-১৯৭১, বীরকণ্যা প্রীতিলতা, স্ফূলিঙ্গ, পরাণ, বিক্ষোভ, দামাল, গেরিলা, লালশাড়ি, অবিনশ্বর, গন্ডি, ওমর ফারুকের মা, রেডিও, দেশান্তর, ধড়, শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়, গুণিন, বিউটি সার্কাস, মা, ন ডড়াই, আলফা ও পাপ পূণ্য এই ২৪টি চলচ্চিত্র প্রদশির্ত হবে।
আজ বিকেলে কলকাতা প্রেসক্বাবে সাংবাদিলক সন্মেলনে উপরিউল্লিখিত তথ্য জানিয়েছেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। এ সময় তার সাথে ছিলেন উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও প্রেস সেক্রেটারী রঞ্জন সেন।
প্রশ্নোত্তরপর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপ-হাইকমিশবার আন্দালিব ইলিযাস জানান, প্রতিবার মূলত: নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় বাংলাদেশের এই চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবার সময়ের প্রয়োজনে একটু আগে করার প্রয়োজন হয়েছে। তিনি বলেন, গতবারের বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল য়া অভূতপূর্ব। এমনকি দর্শকদের ভিড় সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারীদের দস্তুর মত বেগ পেতে হয়েছিল। তাই সেই অভিঙতার আলোকে এবারের চলচ্চিত্র উৎসব প্রতিদিন বিনামূল্যে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এই ব্যবস্থায় দর্শকদের ভিড় সামাল দেয়া কি সম্ভব হবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস জানান, এবার দুটি হলের সিট ক্যাপাসিটি অনুযায়ী উপ-হাইকমিশনের ব্যবস্থায় প্রেক্ষাগৃহের সামনে বিনামূল্যে পাস/টিকেট দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। তিনদিনের অভিন্ন ব্যবস্থাপনায় এবার দর্শকরা নির্বঘ্নে চলচ্চিত্র দেখতে পারবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন।