আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তালেবানরা আফগানিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম শহর মাজার-ই-শরীফের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যখন তারা শহরে নৃশংস আক্রমণ চালায়। বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের গজনী এবং হেরাত শহরগুলো তালেবান নিয়ন্ত্রণ করে নিয়েছে। এটি তালেবানের কাছে কাবুলের আসন্ন পতনের সম্ভাবনা বাড়িয়েছিল। এদিকে জালালাবাদ ও দখল করেছে তালেবানরা।

মাজার-ই-শরিফ ছিল সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন আফগানিস্তানের শেষ প্রধান শহর। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি মাত্র কয়েকদিন আগে শহরে ছিলেন তার সেনাদের মনোবল ও আস্থা বাড়াতে।

সংবাদ সংস্থা এপি জানায়, একজন আফগান আইনপ্রণেতা বলেছেন যে প্রদেশের জাতীয় সেনা বাহিনী প্রথমে আত্মসমর্পণ করে, সরকারপন্থী মিলিশিয়া এবং অন্যান্য বাহিনী মনোবল হারাতে এবং হামলার মুখে হাল ছেড়ে দিতে প্ররোচিত করে। বালখ প্রদেশের একজন আইনপ্রণেতা আবাস ইব্রাহিমজাদা, যার রাজধানী মাজার-ই-শরীফ, তিনি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, শহরটি  এক রকম বিনা যুদ্ধে তালেবানের হাতে চলে যায়,।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ থেকে আমেরিকান সেনাদের প্রত্যাহারের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তালেবানরা এখন উত্তর, পশ্চিম এবং দক্ষিণ আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

খবর পাওয়া গেছে যে, তালেবানের দ্রুত আক্রমনের আলোকে তিনি পদ ও গদি  ছাড়ার সম্ভাবনার বিষয়ে মন্তব্য না করলেও আভাস পাওয়া গেছে প্রেসিডেন্ট গনি পদত্যাগ করতে পারেন। একটি টেলিভিশন ভাষণে গণি বলেন, তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশে চরম অস্থিতিশীলতা বন্ধ করা। তিনি  বলেন, “এটি করার জন্য, আমি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সরকারের অভ্যন্তরে এবং বাইরে ব্যাপকভাবে পরামর্শ বিনিময়  শুরু করেছি এবং আমি শিগ্গিরই ফলাফল জনগণের সাথে শেয়ার করব।”

বিবিসি জানায়, জাতিগত উজবেক যুদ্ধবাজ, আফগান সেনা প্রধান  আবদুল রশিদ দস্তুম এবং বিশিষ্ট জাতিগত তাজিক নেতা আতা মোহাম্মদ নূর  দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।