নিজস্ব রিপোর্ট

কলকাতা, আগস্ট ১৪ : ”প্রতিটি রোটারী ক্লাবের মেম্বরশিপ বৃদ্ধি করতে হবে। এবং এটা এখন খুব জরুরী। নন রোটারিয়ানদের মধ্যে থেকে মেম্বরশীপ না বাড়াতে পারলে ক্লাবগুলো যেমন এগুতে পারবেনা, পাশাপাশি রোটারী ইন্টারন্যাসনাল-র ভিশন মিশন ও কর্মসুচিগুলো বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত হবে। এই জন্য প্রত্যেকটি ক্লাবকে রোটারী-র জনপ্রিয় প্রকল্প ছাড়াও ক্লাবের নিজস্ব প্রকল্পগুলো সঠিকভেবে বাস্তবায়ন করতে হবে। পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী তথা সংশ্লিষ্ট এলাকার সামাজিক উন্নয়নে একটি ভালো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলেই সেখানে সামগ্রিকভাবে সেটা রোটারী-র জন্য ল্যান্ডমার্ক হয়ে থাকবে। পাশাপাশি এই সব কর্মকান্ড তথা প্রকল্প-র বাস্তবায়ন দেখে নন-রোটারিয়ানদের মাঝে রোটারী-র ভাবমুতি যেমন উজ্জ্বল হবে তেমনি তারা রোটারী-র মেম্বর হওয়ার জন্যও আগ্রহী হয়ে ওঠবে। ক্লাবগুলোকে তাদের ধরেরাখার জন্য বছরব্যাপী লাগাতর কর্মসূচী অব্যাহত রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে  রোটারী-র ৫টি পদক্ষেপকে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে তাদের আকৃষ্ট করা সহজ হবে।” এই পদক্ষেপ গুলো হলো, ইনভাইট, এনরোল, মেন্টর,  এনগেজড ও এনজয় ইত্যাদি। সকল ক্লাব প্রেসিডেন্ট ও কর্মকর্তাদের এই পাঁচটি পদক্ষেপ পালনের মধ্যে দিয়ে স্ব স্ব এলাকায় পাবলিক ইমেজ সৃ্ষ্টির-ও পরামর্শ দিয়েছেন প্রবীর চ্যাটার্জী।

             

শনিবার ( ১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রোটারী ক্লাব অব মধ্যমগ্রাম মেট্রোপলিটন ক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠান ‘অয়না’য় প্রধান অতিথির ভা্ষণ দিতে গিয়ে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৯১-র গভর্ণর রোটারিয়ান প্রবীর চ্যাটার্জী উপস্থিত রোটারী সদস্য ও অতিথিদের উদ্দেশ্যে উপরোক্ত বক্তব্য পেশ করেন।

এ ছাড়া ডিস্ট্রিক গভর্ণর প্রবীর চ্যাটার্জী, রোটারী ফাউন্ডেশন ও ডিস্ট্রিক্ট ৩২৯১-র বিভিন্ন জনপ্রিয় প্রকল্পগুলোর বিশদ বর্ণনা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করেন। ‘নারীর ক্ষমতায়ন’-র জন্য একটি জনপ্রিয় কর্মসুচী বাস্তবায়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মেয়েদেরকে সমাজে ও পরিবারে প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত ও সহিংসতার শিকরে পরিণতত হয়। হতে হয় তুচ্ছ তাছিল্য! এই আবস্থা থেকে পরত্রান পাওয়া তথা নারী-কে স্বাবলম্বী করার জন্য তাদেরকে মানবিক উন্নয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এই জন্য কলকাতাসহ বিভিন্ন মেট্রপলিটন ও বেঙ্গল পুলিশের সাথে রোটারী ডিস্ট্রিক্ট-৩২৯১ যৌথভাবে এই কর্মসুচি বাস্তবায়ন করবে। তিনি প্রতিটি ক্লাবকে বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতান ‘বীরঙ্গনা’ কর্মসূচী বাসতবায়ন করার জন্যও পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, এই জন্য ক্লাবগুলোকে তাদের তথ্য-উপাত্ত ও কেসস্টাডি সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছেন:

অভি্যেক আনুষ্ঠানে বিশে্য অতিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট গভর্ণর ইলেক্ট অজয় কুমার ল ও ডিস্ট্রিক্ট গভর্ণর নমিনি হিরালাল যাদব। প্রধান আতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ রোটারী ক্লাব অফ মধ্যমগ্রাম মেট্রপলিটন-র কার্যক্রমের ভূয়সী প্রসশসা করেন। তাঁরা রোটারী ক্লাব মধ্যমগ্রা মেট্রপলিটন-র চক্ষু হাসপাতাল তৈরী করার জন্য বাদু এলাকায় একবিঘা জমি দান করায় এই ক্লাবের-ই সদ্স্য পুলিন বিহারী পালকে অভিন্‌ন্দন জানিয়ে বলেন, এই মহৎ কাজে তাঁর এই দান চিরকাল অক্ষয় হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে অন্যানা আতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট ৩২৯১-র সেক্রেটারী (এডমিনেস্ট্রেশন) জয়দেব ব্যানার্জী, ডিস্ট্রিক্ট-৩২৯১-র কর্মকর্তা ও দমদম ক্লাবের সদস্য তাপস ভট্রাচার্য্য, বারাসাত মেট্রপলিটন ক্লাবের পিপি ও পাস্ট এ্যাসিস্ট্যান্ট গভর্ণর সুব্রত মুখার্জী, যোনাল সেক্রেটারী ও পিপি অভিমণ্য বিশ্বাস, পাস্ট প্রেসিডেন্ট ও পাস্ট এ্যাসিস্ট্যান্ট গভর্ণর রোটারিয়ান দীপক মুখার্জী ও রোটারী ক্লাব অফ বারাসাত আউটারে-র সেক্রেটারী বিপুল কৃষন   দাস।

আনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অভিষেক অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান পিপি ও  এসিস্ট্যান্ট গভর্নর এডমিন রোটারিয়ান প্রভাত কুমার ঘোষ, ক্লাব মেন্টর রোটারিয়ান কল্যান বোস, রোটারী ক্লাব অফ মধ্যমগ্রামের আইপিপি রোটারিয়ান অশোক কুমার নন্দি, বর্তমান প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান গৌতম নন্দি ও ক্লাব সেক্রেটারী নন্দিতা বোস।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পিপি রোটারিয়ান দেবাশিষ ব্যানার্জী।