ঘাটালের সমস্যা না মেটার প্রধান কারণ হল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান-এর না বাস্তবায়িত হওয়া। এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ভোগে পড়া মানুষের জন্য জনসাধারণের কাছে ত্রাণের জন্যও করলেন আবেদন।

এদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর না হওয়ায় সমস্যা মেটেনি। প্রতি বছরই তাই ঘাটালের মানুষ বিপদে পড়ছেন।’ তিনি বলেন, বন্যা বিভিন্ন জায়গায় বাড়াবাড়ি পর্যায়ে হয়েছে। ৩৬টা ব্রিচ হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে ৪ মিনিটের একটা ভিডিও তুলেছিলাম, পুরোটাই জল।

মুখ্যমন্ত্রীর মতে, মাস্টার প্ল্যান না হলে ঘাটাল সমস্যার সুরাহা হবে না। তিনি যোগ করেন, গতকালই রাজ্য সরকারি আধিকারিকের একটি প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে গেছেন। প্রসঙ্গত, বুধবার আকাশপথে ঘাটাল পরিদর্শন করেন সেচ দফতরের সচিব প্রভাতকুমার মিশ্র। জল পথেও বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন।

কেন ঘাটালে এই সমস্যা, এদিন তার ব্যাখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সল্টলেক যেমন নৌকার মতো, জল জমলেই সল্টলেক আগে ডুবে যায়, বাংলা হচ্ছে যেমন ভারতের নৌকার মতো, ঝাড়খণ্ড বিহারে জল হলে এখানে ঢুকে যায়। ঠিক তেমনই,  ঘাটাল হল পশ্চিমবঙ্গের নৌকার মতো। বৃষ্টি হলেই জল ঘাটালে ঢুকে যায়। তার ওপর শীলাবতী কংসাবতী তো আছেই।

এর জন্যই ঘাটালবাসী সঙ্কটে পড়েন বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, এক বছর ছেড়ে ছেড়ে ঘাটাল ভাসছে। ২০১৫ তে হয়েছিল। তারপর ২০১৭, ২০১৯ হয়েছে এখন ২০২১ হলো। এর মাঝে ফণী, ইয়াস, হয়ে গেল। দুবছর ধরে কোভিড চলছে। একটা দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে চলছি, মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

এই প্রেক্ষিতে দুর্ভোগে পড়া মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে সকলকে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, আমাদের কেউ কিছু দেয় না। আমাদের রিলিফ ফান্ড আছে। সেখানে যে যেমন পারবেন, দেবেন। যাতে গরিব মানুষগুলি তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন। সরকার একার হাতে সবকিছু করতে পারে না। সকলকে নিয়ে চলতে হয়। আমরা যতটা পারছি করছি। আপনারা পারলে ভালই হয়। ত্রিপল, বেবি ফুড, চিড়ে মুড়ি তেল- যদি আপনারা দিতে পারেন আমরা পৌঁছে দেব।

Source-ABPLIVE