নিজস্ব প্রতিনিধি

ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার কয়েকদিনধরে তৃণমূল কমীরদের উপর হামলা-মামলাসহ নানান ঘটনার পর আগরতলায় পুরভোট পিছিয়ে দেয়ার জন্য সোমবার সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার সেই আবেদনের রায়ে সুপ্রিমকোর্ট জানিয়ে দেয় আগরতলায় পুরভোট পিছবে না। ২৫ নভেম্বরেই হবে ভোট। তবে নির্বাচন সুষ্ঠভাবে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ত্রিপুরা পুলিশের ডিজিপি, আইজিপি-কে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের নির্দেশ।

বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে মঙ্গলবার মামলার শুনানি শুরু হলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে প্রথমে সেখানকার বিজেপি সমর্থকদের সমস্ত হামলার তালিকা পেশ করেন আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তা। ত্রিপুরা সরকারের হয়ে দাঁড়ান আইনজীবী মহেশ জেটমালানি। শুনানিতে বিচারপতি ত্রিপুরা সরকারের কাছে কয়েকটি বিষয় জানতে চান। পুর নির্বাচনের দিন, গণনার দিন এবং গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তার কি কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চান তিনি। নিরাপত্তার দায়িত্ব কার উপর রয়েছে, কত আধা সেনা এসেছে, আধা সেনার মোতায়েন কেমন হয়েছে, সংবেদনশীল এলাকা কি কি রয়েছে। সমস্ত বিষয়ে ত্রিপুরা সরকারের কাছে জানতে চান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

আদালতে বিচারপতির সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেয়  ত্রিপুরা সরকার। এরপরই আদালত নির্দেশ দেয়, পুরভোট নির্ধারিত দিনেই এবং গণনা যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, সেই দিকে  ডিজিপি এবং আইজিপি-কেই নজর রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত মঙ্গলবারের শুনানিতে ত্রিপুরায় ভোট পিছনোর দাবি করেন তৃণমূলের আইনজীবী। তার দাবি, এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় ভোটের পরিবেশ নেই। এর বিরোধিতা করেন ত্রিপুরা সরকারের আইনজীবী মহেশ জেটমালানি। তিনি পাল্টা দাবি করেন, সরকারের তরফে অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি কারণ, সেগুলো খুবই ছোট ঘটনা। আদালত সূত্রে খবর, যদিও ত্রিপুরা সরকারের দাবিতে খুশি হননি বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এরপরই তিনি রাজ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট সরকারকে জানাতে বলেন। দু’বার স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে বিকেলে শুনানি শুরু হয়। এরপরই উপরিউক্ত নির্দেশ দেন বিচারপতি।