মুজিববর্ষের উপহার : ব্রি১০০ চাষ একরে ফলবে ১০০মন ধান

এম এ রহিম,

বেনাপোল সীমান্ত (বাংলাদেশ) : কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নসহ দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন্নতা  অর্জনে যশোরের শার্শায় এই প্রথম বানিজ্যিক ভাবে শুরু হয়েছে পুষ্টি গুণে  ভরা জিংক সমৃদ্ধ সু-স্বাদু বঙ্গবন্ধু ’ ব্রি-১০০জাতের ধানবীজ চাষ। প্রতি একরে ফলবে ১০০মন। স্বাধী নতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবশতবর্ষের উপহারহিসেবেবাংলাদেশ ধানগবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা হাইজিংক সমৃদ্ধ এই বঙ্গবন্ধু ধান বীজ  ব্রি১০০  উদ্ভাবন করেছেন। বেশী ফলনের এই নয়াবীজ  কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।

উর্বর সম্ভাবনাময়  প্রাচুর্য সমৃদ্ধ  সোনারবাংলার মাটি প্রাণশক্তি অপরিসীম, তাই  এমন ফলনশীল  নতুন ধানের উৎপাদন করতে বাংলাদেশের কৃষিউ দ্ভাবকরা গবেষণা করে চলেছেন নিত্য নতুন।। তাদেরই এই গবেষণালব্দ প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সর্বৃশেষ  সফল আবিষ্কার বঙ্গবন্ধু  ব্রি-১০০ধান। চাষাবাদ খরচকম, তুলনামূলক অন্য জাতের তুলনায় এই ধান চাষে যেমন খরচ কম তেমনি হবে  আশাতিত ফলনদেশের জন্য   এই শ্রেষ্ঠ জাতের ধান আবিষ্কারের জন্য  বাংলাদেশের  প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা আবিষ্কারকদের ভূয়সী প্রশংসা ও অভ নন্দন জানিয়েছেন। বিশ্বখাদ্য দিবসে বাংলাদেশের প্র্ত্যন্ত অঞ্চলে এ ই ধান চা্যাবাদে বিশেষ করে   প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে  নতুন অশার অলো যোগাবে বলে কৃষিবিদরা মনে করেন। । তারা জানিয়েছেন, এই ধানের  জিংক-পরিমান ২৫.৭মি গ্রাম পরমান এবং  ধানের গড় জীবনকাল-১৪৮ দিন এবং হেক্টর প্রতি ফলন  ৭.৭/৮.৮মেট্রিকটন।No synonyms found. এর ধারাবাহিকতায় শার্শা উপজেলার পান্তাপাড়া মাঠে  উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আদর্শ বীজতলা তৈরীএবং কারিগরিসহায়তায় এইপ্রথম বানিজ্যিকভাবে ৫০০ শতক  জমিতে ‘প্রদশনী খামার  করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অল্প সময়ে স্বল্প খরচে এই নতুন জাত  ধান চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছেন  ওই এলাকার প্রান্তিক কৃষক হারুনার রশিদ। তার দেখাদেখি  আরও উৎসাহী হয়েছেন একই এলাকার  কৃষক এরশাদ আলীখলিলুর রহমান  স্হ আরও অনেকেই।

শার্শায় উৎপাদিত বঙ্গবন্ধু ধান-র চাষ দেশব্যাপি সম্প্রসারনের প্রত্যাশা  করেন আদর্শ কৃষক হারুনার রশিদ। তিনি এই সংবাদদাতাকে বলেন, সবচেযে খুশির বিষয় হলো বঙ্গবন্ধু ধান চাষের জন্য   সার বীজ ও চাষাবাদ খরচ দিচছন সরকার। সরকারের এই সহায়তা  দেশেেই পদ্ধতির চাষাবাদে ধেশে খাদ্য চাহিদা মিটিয়েও দেশ ব্যাপক অর্থিক যোগান সাধিত হবে।   উপজেলা কৃষি অফিসার সৌতম কুমার শীলবলেন, বঙ্গবন্ধু ধান” বীজএই প্রথম সবথেকে বেশীচাষ হচ্ছে শার্শা উপজেলায়। প্রদর্শনী আকারে বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে চাষাবাদ করাহচ্ছে। বীজের পরিমাণ  বৃদ্ধি করে আগামী মৌসুমে এর উৎপাদন আরও বেশি করা যায় কিনা সেই লক্ষ্যেকাজকরছে কৃষি বিভাগ। স্বাধীনতারসুবর্ণজয়ন্তীও মুজিবশতবর্ষে কৃষকের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এ বীজ। আশা করেন কৃষি কর্মকর্তা।

ব্রি-র মহাপরিচালক ড. মো:.শাহজাহান কবীর বলেছেন,গবেষণা  শুরুর সময় থেকেই মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ব্রি জিংক সমৃদ্ধ‘ ব্রি১০০’-কে ‘বঙ্গবন্ধুধান’ হিসেবে নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছিল,  পরে গত ২৮ জুন বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুররহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমতি নিয়ে কৃষিমন্ত্রণালয়ের বীজ অনুবিভাগ গত২৫ আগস্ট একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ব্রির নতুন জিংক সমৃদ্ধজাত ‘বঙ্গবন্ধুধান১০০’ নাম  দেওয়াহয়। একই গবেষক দলের আরেক বিজ্ঞানী ড.মো. আব্দুল কাদের জানান, এটি উচ্চ জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাত। আধুনিক উফশী (উন্নয়ন শীল) ধানের বৈশিষ্ট্য সংবলিত এই  ধানের রঙ সাধারণত সোনালি রঙের হয়ে থাকে। চাল হয় মাঝারি চিকন ওসাদা।  এতে জিংকের পরিমাণ প্রতিকেজিতে ২৫.৭মিলিগ্রাম-র মতো,, এই চালের ভাত খেলে শরীরে জিংকের  ঘাতটি  পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এছাড়া চালে  আ্যাজাইলাম  ২৬.৮শতাংশ ও প্রোটিন  রয়েছে ৭.৮ শতাংশ। বেনাপোলের ধান চাষী আরসাদ আলী ও আব্দুল খালেক বলেন, সরকারিভাবে বীজ  ও আর্থিক সহায়তা পেলে দেশের সমস্ত কৃষক,  প্রান্তিক কৃষক এই  নতুন ধান চাষে উদ্বুদ্ধ হলে   দেশে সবুজ বিপ্লব সূচিত হবে।

বাংলাদেশের কৃষিবিদরা জানিয়েছেন,  ব্রি-১০০ বঙ্গবন্ধু ধান বাংলাদেশে অশাতিত ফলন সাধিত হলে ভবিষতে ভারতেও এই ধানের চাহিদা বাড়বে বলেও তারা মনে করছেন।    ,