এম এ রহিম, বেনাপোল
সিমান্ত, বাংলাদেশ :সীমান্তের অবৈধ পথে বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচার হচ্ছে নারী-শিশু-পুরুষ্। পাচারের পর সেখানে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে অনেককে। অধিকাংশ তরুণীদের বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে নিষিদ্ধ আস্তানায়। ভারতে থাকা কালিন নানা বিড়ম্বনা ও বহু নির্যাতনের স্মৃতিচিহৃ নিয়ে কপর্দকশূণ্য দেশে ফিরতে হচ্ছে তাদের।
মঙ্গলবার প্রলোভনে ও মিথ্যা আশ্বাসে রাজী হয়ে বিভিন্ন সময় সীমান্ত টপকে অবৈধ পথে ভারতে পাচার হওয়া এমনই ২৩বাংলাদেশি কিশোর কিশোরীও শিশুকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের কতরৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। ভারতের বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে দীর্ঘ ৫থেকে ৭বছর পর তদের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়। এদিন ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।ফেরত আসাদের মধ্যে ১০ জন ছেলে ও ১৩ জন মেয়ে রয়েছে। এদের বয়স ৭ থেকে ১৭বছর। তাদের বাড়ী বাগেরহাট, ময়মনসিং, ঢাকা , চট্রগ্রাম, ফরিদপুর, বরিশাল, নরসিংদী, নড়াইল, সাতক্ষীরা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি রাজু আহম্মেদ ও জাস্টিস এন্ড কেয়ারের প্রোগ্রাম অফিসার রেখা বিশ্বাস জানান, বিভিন্ন সময়ে দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আশায় ভারতে যায় তারা। পরে আটক হয় ভারতীয় পুলিশের হাতে। পশ্চিমবাংলার ধ্রবলিয়া, নিলুয়া ও কুচবিহার শেল্টার হোমে নেওয়া হয় তাদের। সেখান থেকে দুদেশের হাইকমিশনের হস্তক্ষেপে দেশে ফেরে তারা। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের কার্যাদি শেষে পরে তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় ।সেখান থেকে তিনটি এনজিও সংস্থা তাদেরকে হেফাজতে নেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভারত থেকে ফিরে আসা নারী শিশুদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বেল জানান সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিনিধি।ফেরত আসা নারী ও শিশুরা জানান অবর্ননীয় কষ্টের কথা।দালালরা মিথ্যা কথা বলে ভারতে বিক্রি করে দেয় তাদের। অনেকের উপর চালানো হয় নির্যাতন। একই পরিবারের কিশোরীরা জানান তাদের কষ্টের কথা। বিষয়টি অনেকে বুঝতে পেরে নিজেই ধরা দেন পুলিশে। তবে কয়েক বছর পর দেশে ফিরতে পেরে খুশি বলে জানান তারা। আর নিজ দেশ ছেড়ে ভারতে যেতে চায়না তারা। তবে ভারত থেকে ফিরে আসা কয়েকজন কিশোরী জানান স্বেচ্ছায় গেছেন ভারতে, সেখানে ভালই ছিলেন তারা।